AL-USWUL ATH-THALATHA 


usuulthalath


الْمَرْتَبَةُ الثَّالِثَةُ: الإِحْسَانُ

[رُكْنٌ وَاحِدٌ كما فى الحديث: [أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِن لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ

وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

إِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوا وَّالَّذِينَ هُم مُّحْسِنُونَ}    النحل:128}

:وقَوْلُهُ تَعَالَى

وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ}   الشعراء:217-220}

:وقَوْلُهُ تَعَالَى

وَمَا تَكُونُ فِي شَأْنٍ وَمَا تَتْلُو مِنْهُ مِن قُرْآنٍ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلَّا كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِ}     يونس:64}

وَالدَّلِيلُ مِنَ السُّنَّةِ حَدِيثُ جِبْرِيلَ الْمَشْهُورُ

عَنْ عُمَرَ بنِ الْخَطَّابِ (رضي الله عنه) قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ، شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ، شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ، لا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ، وَلا يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ، فَجَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وآله وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ، وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلامِ فَقَالَ: [أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لا إلٰه إِلا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، وَتُقِيمَ الصَّلاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنْ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلا] .قَالَ: صَدَقْتَ. فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ. قَالَ: أَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ. قَال: [أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ] قَالَ: صَدَقْتَ. قَالَ: أَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ. قَال: [أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ] قَالَ: أَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ. قَالَ: [مَا الْمَسْؤُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ] .قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا. قَالَ: [أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا، وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ] .قَالَ: فَمَضَى، فَلَبِثْنَا مَلِيَّا، فَقَالَ: [يَا عُمَرُ أَتَدْرُونَ مَنِ السَّائِلِ؟] قُلْنَا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: [هَذَا جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ أَمْرَ دِينِكُم


তৃতীয় স্তর ইহসান

ইহসান-এর স্তম্ভ মাত্র একটি, আর তা হচ্ছে,

‘আল্লাহর ইবাদত করার সময় তুমি যেন তাকে দেখতে পাচ্ছ এটা মনে করা, আর যদি তুমি তাকে দেখতে না পাও তবে এ কথা মনে করে নেওয়া যে, নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।’

ইহসানের প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَواْ وَّٱلَّذِينَ هُم مُّحۡسِنُونَ ١٢٨ ﴾ [النحل: ١٢٨]

নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করে ও ইহসান অবলম্বন করে, আল্লাহ (জ্ঞানে এবং সাহায্য-সহযোগিতায়) তাদের সঙ্গে রয়েছেন।” (সূরা আন্-নাহল, ১২৮)

অনুরূপ আল্লাহর বাণী,

﴿ وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ ٢١٧ ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ ٢١٨ وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّٰجِدِينَ ٢١٩ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٢٢٠ ﴾ [الشعراء: ٢١٧، ٢٢٠]

আর ভরসা কর সেই পরাক্রান্ত ও দয়াবানের উপর, যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি সালাতে দাঁড়াও আর যখন তুমি সালাত আদায়কারীদের সঙ্গে উাঠাবসা কর। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” (সূরা আশ্-শু‘আরা, ২১৭-২২০)

তদ্রূপ আল্লাহর অপর বাণী,

﴿ وَمَا تَكُونُ فِي شَأۡنٖ وَمَا تَتۡلُواْ مِنۡهُ مِن قُرۡءَانٖ وَلَا تَعۡمَلُونَ مِنۡ عَمَلٍ إِلَّا كُنَّا عَلَيۡكُمۡ شُهُودًا إِذۡ تُفِيضُونَ فِيهِۚ ﴾ [يونس: ٦١]

এবং তুমি (হে রাসূল) যে কোনো পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থান কর না কেন, আর তা সম্পর্কে কুরআন থেকে যা কিছু তিলাওয়াত কর না কেন এবং তোমরা যে কোনো কর্ম সম্পাদন কর না কেন আমরা সে সবের পূর্ণ পর্যবেক্ষক হয়ে থাকি; যখন তোমরা তাতে প্রবৃত্ত হও।” (সূরা ইউনুস, ৬১)

এসম্পর্কে হাদীসের প্রমাণ হচ্ছে, জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম এর এ সুপ্রসিদ্ধ হাদীস যা ওমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বসা ছিলাম এমতাবস্থায় সেখানে মিশমিশে কালকেশ, ধবধবে সাদা পোষাক পরিহিত একজন মানুষ এসে উপস্থিত হলেন। ভ্রমণের কোনো নিদর্শনই তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল না, অথচ আমরা কেউ তাকে চিনতে পারি নি। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে হাঁটু গেড়ে বসলেন এবং হস্তদ্বয় তাঁর উরুদেশে রাখলেন, এরপর বললেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে সংবাদ প্রদান করুন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ইসলাম হচ্ছে, এ সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার মাবূদ নেই এবং মুহাম্মদ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। সালাত প্রতিষ্ঠা করা। যাকাত প্রদান করা রমযান মাসের সাওম পালন করা এবং সামর্থ্য থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ করা।

আগন্তুক বললেন: আপনি ঠিক বলেছেন। এতে আমরা আশ্চর্য হলাম যে, তিনি নিজেই জিজ্ঞেস করছেন আবার নিজেই তার সত্যায়ন করছেন।

অতঃপর তিনি বললেন: আমাকে ঈমান সম্পর্কে অবহিত করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঈমান হলো) আল্লাহ, ফিরিশতাকুল, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, শেষ দিবস এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনয়ন করা।

এরপর আগন্তুক বললেন: আমাকে ইহসান সম্পর্কে সংবাদ দিন। উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: যখন তুমি ইবাদতে লিপ্ত হবে, তখন তুমি যেন আল্লাহকে দেখছ একথা মনে করতে হবে, আর যদি এটা সম্ভব নাও হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।

অতঃপর আগন্তুক বললেন: আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে অবহিত করুননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি জিজ্ঞেসকারী অপেক্ষা অধিক জানে না।

এরপর আগন্তুক বললেন, তাহলে আমাকে কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে জানান। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন,

যখন পরিচারিকা স্বীয় মালিকের জন্ম দেবে, নগ্নদেহ ও নগ্ন পদ বিশিষ্ট ও জীর্ণ-শীর্ণ পোষাক পরিহিত ছাগলের রাখালরা সুউচ্চ অট্টালিকায় বসবাস করবে।

হাদীস বর্ণনাকারী বললেন: আগন্তুক পরক্ষণেই প্রস্থান করলেন্ এরপর আমরা কিছুক্ষণ নীরব নিস্তব্ধ থাকলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হে উমর, তুমি কি জান প্রশ্নকারী কে ছিলেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি হচ্ছেন জিব্রীল, তিনি তোমাদেরকে দ্বীন শিক্ষা প্রদানার্থে তোমাদের কাছে এসেছিলেন।’


[1]মুসলিম, হাদীস নং ৮; বুখারী, হাদীস নং ৫০।

Search Videos

Go to top