হাদিস 9
আল-জুবায়ের ইবনে আওয়াম বর্ণনা করেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
دَبَّ إِلَيْكُمْ دَاءُ الأُمَمِ قَبْلَكُمُ الْحَسَدُ وَالْبَغْضَاءُ هِيَ الْحَالِقَةُ لاَ أَقُولُ تَحْلِقُ الشَّعْرَ وَلَكِنْ تَحْلِقُ الدِّينَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَفَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِمَا يُثَبِّتُ ذَاكُمْ لَكُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ
তোমাদের আগেকার উম্মাতদের রোগ তোমাদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। তা হলো পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা। আর এই রোগ মুণ্ডন করে দেয়। আমি বলছি না যে, চুল মুণ্ডন করে দেয়, বরং এটা দ্বীনকে মুণ্ডন (বিনাশ) করে দেয়। সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তোমরা যদি পরস্পরকে না ভালবাস তাহলে ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে বলবো না যে, পারস্পরিক ভালবাসা কোন কাজের মাধ্যমে মজবুত হয়? তোমরা পরস্পর সালামের বিস্তার ঘটাও।
সূত্র: সুনান আত-তিরমিযী 2510, গ্রেড: সহীহ
হাদীস 8
'আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
ثَلَاثٌ مَنْ جَمَعَهُنَّ فَقَدْ جَمَعَ الْإِيمَانَ : الْإِنْصَافُ مِنْ نَفْسِكَ وَبَذْلُ السَّلَامِ لِلْعَالَمِ وَالْإِنْفَاقُ مِنْ الْإِقْتَارِ
তিনটি জিনিসের সবগুলোই যার মধ্যে থাকবে সেই হচ্ছে পরিপূর্ণ ঈমানদার। সেগুলো হচ্ছে, নিজের ব্যাপারে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা, সবাইকে সালাম দেওয়া এবং নিজের প্রচুর প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ধন-সম্পদ আল্লাহ তা‘আলার পথে ব্যয় করা।
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা 30440, গ্রেড: সহিহ
হাদীস 7
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, কোন ইসলাম সর্বোত্তম? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ
তুমি অন্যকে অন্নদান করবে এবং পরিচিত ও অপরিচিত সকল (মুসলিম)কে সালাম দেবে।
সূত্র: সহীহ আল-বুখারি 28, গ্রেড: মুত্তাফাকুন আলাইহ
হাদিস 6
ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلَا اللَّعَّانِ وَلَا الْفَاحِشِ وَلَا الْبَذِيءِ
মুমিন খোঁটাদানকারী হতে পারে না, অভিশাপকারীও নয়, অশ্লীল হয় না এবং নির্লজ্জ বা অসভ্য হয় না।
সূত্র: সুনান আল-তিরমিযী 1977, গ্রেড: সহীহ
হাদীস 5
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, মুশরিকদের বিরুদ্ধে দোয়া করুন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
إِنِّي لَمْ أُبْعَثْ لَعَّانًا وَإِنَّمَا بُعِثْتُ رَحْمَةً
প্রকৃতপক্ষে, আমাকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়নি, বরং আমাকে কেবল রহমত হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: সহীহ মুসলিম 2599, গ্রেড: সহীহ
হাদিস 4
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمْ الرَّحْمَنُ ارْحَمُوا مَنْ فِي الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ
রহমশীলদের প্রতি রহমানও রহম করেন। তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি রহম করো তাহলে আকাশবাসী (মহান আল্লাহ) তোমাদের উপর রহম করবেন।
সূত্র: সুনান আল-তিরমিযী 1924, গ্রেড: সহীহ