প্রশ্নোত্তরে পবিত্রতার প্রাথমিক মাসাইল
গ্রন্থণা: শায়খ আব্দুল্লাহ আল বাকী
1. bvcvKx ej‡Z wK ey‡Sb?
DËi: †Mvmj diR n‡j Zv‡K eo bvcvKx Ges IRy †f‡½ গেলে Zv‡K †QvU bvcvKx e‡j|
2.cÖkœ: cvwb wK fv‡e bvcvK nq?
DËi: cvwb‡Z †Kvb bvcvKx cwZZ n‡j cvwb bvcvK nq| Z‡e †ekx cvwb n‡j bvcvKx cwZZ nIqvi Kvi‡Y cvwbi is, ¯^va, ev NªvY cwieZ©b n‡j †m cvwb bvcvK e‡j MY¨ n‡e|
3. cÖkœ: ¯^Y© I †iŠ‡c¨i cv‡Î cvbvnvi Kivi weavb wK?
DËi: ¯^Y© I †iŠ‡c¨i cv‡Î cvbvnvi Kiv nvivg|
4. cÖkœt ¯^Y© I †iŠ‡c¨i AvswU I †PBb e¨envi Kivi weavb wK?
DËit cyiæl‡`i Rb¨ ïay gvÎ †iŠ‡c¨i AvswU Qvov Ab¨ ‡Kvb Mqbv ev ¯^Y© e¨envi Kiv nvivg, bvix‡`i Rb¨ Rv‡qh|
5. cÖkœ: Kv‡di‡`i e¨eüZ evmb-cÎ e¨envi Kivi weavb wK?
DËi: Ab¨ cvÎ bv cvIqv †M‡j Kv‡di‡`i e¨eüZ evmb-cÎ e¨envi Kiv Rv‡qh; Z‡e Zv fvjfv‡e ay‡q wb‡Z n‡e|
6. প্রশ্নঃ নামায বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত কি?
উত্তরঃ পবিত্রতা।
7. প্রশ্নঃ ওযুর ফরয কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ওযুর ফরয ৬টি।
ক) সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।
খ) কুনুই পর্যন্ত দুহাত ধৌত করা।
গ) সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
ঘ) টাখনুসহ দুপা ধৌত করা।
ঙ) তারতীব (ধারাবাহিকতা) রক্ষা করা।
ছ) পরষ্পর করা। (এক অঙ্গ না শুকাতে অন্য অঙ্গ ধৌত করা)
8. প্রশ্ন: ওযু করার সহীহ পদ্ধতি কি?
উত্তর: (১) প্রথমে মনে মনে ওযূর নিয়ত করবে। অতঃপর
(২) ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে। অতঃপর
(৩) ডান হাতে পানি নিয়ে দুই হাত কব্জি সমেত ধুবে এবং আঙ্গুল সমূহ খিলাল করবে। এরপর
(৪) ডান হাতে পানি নিয়ে ভালভাবে কুলি করবে ও প্রয়োজনে নতুন পানি নিয়ে নাকে দিয়ে বাম হাতে ভালভাবে নাক ঝাড়বে। তারপর
(৫) কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতী হয়ে থুৎনীর নীচ পর্যন্ত পুরা মুখমন্ডল ধৌত করবে ও দাড়ি খিলাল করবে। এজন্য এক অঞ্জলি পানি নিয়ে থুৎনীর নীচে দিবে। অতঃপর
(৬) প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত কনুই সমেত ধুবে। এরপর
(৭) পানি নিয়ে দু’হাতের ভিজা আংগুলগুলি মাথার সম্মুখ হ’তে পিছনে ও পিছন হ’তে সম্মুখে বুলিয়ে একবার পুরা মাথা মাসাহ করবে। একই সাথে ভিজা শাহাদাত আংগুল দ্বারা কানের ভিতর অংশে ও বুড়ো আংগুল দ্বারা পিছন অংশে মাসাহ করবে। পাগড়ীবিহীন অবস্থায় মাথার কিছু অংশ বা এক চতুর্থাংশ মাথা মাসাহ করার কোন দলীল নেই। বরং কেবল পূর্ণ মাথা অথবা মাথার সামনের কিছু অংশ সহ পাগড়ীর উপর মাসাহ অথবা কেবল পাগড়ীর উপর মাসাহ প্রমাণিত।
(৮) ডান ও বাম পায়ের টাখনু সমেত ভালভাবে ধুবে ও বাম হাতের আংগুল দ্বারা পায়ের আংগুল সমূহ খিলাল করবে।
(৯) এভাবে ওযূ শেষে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দিবে ও নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করবে-
أَشْهَدُ أَنْ لآ إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ-
উচ্চারণ : আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকা লাহূ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহু। আল্লা-হুম্মাজ্‘আল্নী মিনাত্ তাউয়াবীনা ওয়াজ্‘আল্নী মিনাল মুতাত্বাহ্হিরীন।
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক ও শরীক বিহীন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল’ (মুসলিম)। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন!! ।
9. প্রশ্নঃ ওযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কি তিনবার করে ধৌত করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ না, বরং সুন্নাত।
10. প্রশ্নঃ ওযুর শুরুতে কি বলতে হয়?
উত্তরঃ বিসমিল্লাহ।
11. প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “ক্বিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের পরিচয় হচ্ছে, তাদের কপাল ও পদযুগল শুভ্র আলোকময় হবে।” কি কারণে তা হবে?
উত্তরঃ ওযুর কারণে
12. প্রশ্নঃ কোন সময় দুহাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ নিদ্রা থেকে উঠে পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করানোর আগে।
13. প্রশ্নঃ টয়লেটে প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়ার আদব কি?
উত্তরঃ প্রথমে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বের হওয়ার সময় প্রথমে ডান পা দিয়ে বের হবে।
14. প্রশ্নঃ ওযু নামায বা যে কোন ইবাদতের শুরুতে নাওয়াইতু.. বলে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করার হুকুম কি?
উত্তরঃ নাজায়েয- বিদআত। (হাদীছে এর কোন প্রমাণ নেই)
14. প্রশ্নঃ কোনো পাত্রে কুকুরে মুখ দিলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ পাত্রের বস্তু ফেলে দিয়ে উহা সাতবার ধৌত করতে হবে একবার মাটি দিয়ে।
15. প্রশ্নঃ পেশাব-পায়খান করার সময় কিবলার দিকে মুখ করে বসার বিধান কি?
উত্তরঃ ফাঁকা মাঠে পেশাব-পায়খানা করলে কিবলা সামনে বা পিছনে রাখা জায়েয নয়।
16. প্রশ্নঃ কোন দুটি কাজে মানুষের লানত পেতে হয়?
উত্তরঃ রাস্তা এবং ছায়াদ্বার বা ফলদ্বার বৃক্ষের নীচে পেশাব-পায়খানা করলে।
17. প্রশ্ন: পেশাব পায়খানা করার আগে ও পরে কি দুয়া পড়তে হয়?
উত্তর: পেশাব পায়খানা করার আগে : আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়িছ। এবং পরে গুফরানাকা পড়তে হবে।
18. প্রশ্নঃ পেশাব করার পর কুলুখ ধরে চল্লিশ কদম হাঁটার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদআত। (হাদীছে এর কোন প্রমাণ নেই)
19. প্রশ্নঃ পবিত্রতার জন্য পানি ব্যবহার করার পূর্বে কি অবশ্যই কলুখ ব্যবহার করতে হবে?
উত্তরঃ আবশ্যক নয়। এটা বাড়াবাড়ি।
20. প্রশ্নঃ যদি সন্দেহ হয় যে পেশাব শেষ করার পরও যেন কিছু বের হচ্ছে। তখন কি করতে হবে?
উত্তরঃ সন্দেহের দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না। ওযু শেষ করে লজ্জাস্থানের সামনে পানির ছিটা দিবে।
21. প্রশ্নঃ কোন্ কোন্ বস্তু দ্বারা কলুখ নেয়া জায়েয নয়?
উত্তরঃ হাড়, গোবর, খাদ্য জাতীয় এবং প্রত্যেক সম্মানিত বস্তু।
22. প্রশ্নঃ ওযুতে তারতীব রক্ষা করার অর্থ কি?
উত্তরঃ এর অর্থ হচ্ছে, ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অর্থাৎ- ওযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেটা আগে ধোয়ার নিয়ম সেটার আগে অন্যটা না ধোয়া।
23. প্রশ্নঃ পরস্পর ওযু করার অর্থ কি?
উত্তরঃ এক অঙ্গ ধোয়ার পর পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করতে এতটুকু দেরী না করা যাতে আগের অঙ্গ শুকিয়ে যায়।
24. প্রশ্নঃ ওযুতে ঘাড় মাসেহ করার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদআত, কেননা এক্ষেত্রে কোন সহীহ হাদীছ নেই।
25. প্রশ্নঃ কোন্ কোন্ কাজের জন্য ওযু আবশ্যক?
উত্তরঃ নামায, কাবা ঘরের তওয়াফ ও কুরআন স্পর্শ করার জন্য।
26. প্রশ্নঃ মেসওয়াক ব্যবহার করার হুকুম কি?
উত্তরঃ সুন্নাত।
27. প্রশ্নঃ মেসওয়াক ব্যবহার করার উপকারিতা কি?
উত্তরঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।
28. প্রশ্নঃ বিশেষভাবে কখন মেসওয়াক করা সুন্নাত?
উত্তরঃ ওযুর পূর্বে, নামাযের পূর্বে, কুরআন পাঠের পূর্বে, নিদ্রা থেকে উঠার পর।
29. প্রশ্নঃ রোযাদার কি মেসওয়াক করতে পারে?
উত্তরঃ রোযাদারের মেসওয়াক করা সুন্নাত।
30. প্রশ্নঃ নাক থেকে রক্ত বের হলে কি ওযু নষ্ট হবে?
উত্তরঃ না, ওযু নষ্ট হবে না।
31. প্রশ্নঃ শরীরের কোন স্থান কেটে অল্প/বেশী রক্ত বের হলে ওযু থাকবে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এতে ওযু নষ্ট হয় না। কোন কোন ইমামের মতে অধিক রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়।
32. প্রশ্নঃ ওযু ভঙ্গের কারণ কি?
উত্তরঃ পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া, নিদ্রা প্রভৃতির মাধ্যমে অজ্ঞান হওয়া, কোন আড়াল ছাড়া লজ্জাস্থান স্পর্শ করা, উটের মাংশ খাওয়া।
33. প্রশ্নঃ কি খেলে ওযু নষ্ট হয়?
উত্তরঃ উটের মাংশ খেলে ওযু নষ্ট হয়।
34. প্রশ্নঃ বসে বসে নিদ্রা গেলে কি ওযু নষ্ট হয়?
উত্তরঃ না, বসে বসে কোন কিছুতে হেলান না দিয়ে নিদ্রা গেলে ওযু নষ্ট হয় না।
35. প্রশ্নঃ ওযুর প্রারম্ভে দুহাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা ওয়াজিব না সুন্নাত?
উত্তরঃ সুন্নাত।
36. প্রশ্নঃ পবিত্রাবস্থায় মোজা পরিধান করলে কি তার উপর মাসেহ করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ কোন অসুবিধা নেই।
37. প্রশ্নঃ কোন্ ধরনের পবিত্রতায় মোজার উপর মাসেহ চলবে?
উত্তরঃ ছোট নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে। গোসল ফরজ হলে মোজার উপর মাসাহ চলবে না।
38. প্রশ্নঃ মুক্বীম কতক্ষণ মোজার উপর মাসেহ করতে পারবে?
উত্তরঃ একদিন এক রাত বা ২৪ ঘন্টা।
39. নপ্রশ্নঃ মুসাফির কতদিন মোজার উপর মাসেহ করতে পারবে?
উত্তরঃ তিনদিন তিন রাত বা ৭২ ঘন্টা।
40. প্রশ্নঃ মোজার কোন্ স্থানে মাসেহ করতে হয়?
উত্তরঃ পায়ের উপর অংশ।
41. প্রশ্নঃ মোজার উপর মাসেহ কখন বাতিল হয়?
উত্তরঃ (১) গোসল ফরয হওয়ার কারণ ঘটলে এবং (২) নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে।
- প্রশ্নঃ গোসল ফরয হওয়ার দুটি কারণ বলুন।
উত্তরঃ বীর্যপাত হওয়া, স্ত্রী সহবাস করা।
- প্রশ্নঃ ফরয গোসল বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত কি নিয়ত করা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যেহেতু ফরয গোসল একটি ইবাদত।
- প্রশ্নঃ ফরয গোসলের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে?
উত্তরঃ সমস্ত শরীর ভিজানো- কোন কিছু যেন শুকনা না থাকে।
- প্রশ্নঃ ফরয গোসলের পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ ফরয গোসলের জন্য প্রথমে দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুবে ও পরে নাপাকী ছাফ করবে। অতঃপর‘বিসমিল্লাহ’বলে ছালাতের ওযূর ন্যায় ওযূ করবে। অতঃপর প্রথমে মাথায় তিনবার পানি ঢেলে চুলের গোড়ায় খিলাল করে ভালভাবে পানি পৌঁছাবে। তারপর সারা দেহে পানি ঢালবে ও গোসল সম্পন্ন করবে।
- প্রশ্নঃ জুমআর দিন গোসল করা সুন্নাত না ওয়াজিব?
উত্তরঃ সুন্নাত।
- প্রশ্নঃ ইহরামের পূর্বে গোসল করা ওয়াজিব। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ মিথ্যা, বরং সুন্নাত।
- প্রশ্নঃ হায়েয-নেফাস শেষ হলে গোসল করা সুন্নাত। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ মিথ্যা, বরং তখন গোসল করা ফরয।
- প্রশ্নঃ স্ত্রী সহবাস করার পর যদি বীর্যপাত না হয়, তবে গোসল করার বিধান কি?
উত্তরঃ গোসল করা ওয়াজিব।
- প্রশ্নঃ নাপাক ব্যক্তির উপর কি কি হারাম?
উত্তরঃ নামায, তওয়াফ, কুরআন স্পর্শ ও পাঠ করা, মসজিদে অবস্থান করা।
- প্রশ্নঃ কোন ধরণের শুকনো বস্তু দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়?
উত্তরঃ মাটি দ্বারা তায়াম্মুমের মাধ্যমে।
- প্রশ্নঃ তায়াম্মুম করে নামায পড়ার পর সময় পার হওয়ার আগেই যদি পানি পাওয়া যায়, তবে নামায কি ফিরিয়ে পড়তে হবে?
উত্তরঃ না, নামায ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
- প্রশ্নঃ কোন ধরণের অসুস্থতায় তায়াম্মুম করতে পারবে?
উত্তরঃ পানি ব্যবহার করলে যদি অসুখ বেড়ে যায়, বা ভাল হতে দেরী হয়, তবে তায়ম্মুম করতে পারবে।
- প্রশ্নঃ কোন ধরণের নাপাকীতে তায়াম্মুম করতে পারবে?
উত্তরঃ ছোট-বড় সব ধরণের নাপাকীতে।
- প্রশ্নঃ সংক্ষেপে তায়াম্মুমের পদ্ধতি উল্লেখ কর?
উত্তরঃ পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে বিসমিল্লাহ বলে দু‘হাতে পবিত্র মাটি নিয়ে, তাতে ফুঁ দিয়ে মুখমন্ডল ও দুহাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে।
- প্রশ্নঃ তায়াম্মুমের জন্য কয়বার মাটি নিতে হবে?
উত্তরঃ একবার।
- প্রশ্নঃ ঋতুবতী নারীর জন্য কি কি করা হারাম?
উত্তরঃ সহবাস, নামায, রোযা, তওয়াফ, কুরআন স্পর্শ করা, মসজিদে অবস্থান করা।
- প্রশ্নঃ ঋতুবতী ছালাতের কাযা আদায় করবে না, কিন্তু রোযার কাযা আদায় করবে। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ সত্য।
- প্রশ্নঃ ছালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?
উত্তরঃ দুআ।
- প্রশ্নঃ মুসলমানদের উপর ছালাত কখন ফরয হয়?
উত্তরঃ মেরাজের রাতে।
- প্রশ্নঃ ছালাত ইসলামের কয় নম্বরস্তম্ভ?
উত্তরঃ দ্বিতীয় স্তম্ভ।
- প্রশ্নঃ ঈমানের পর মুসলমানদের উপর সর্বপ্রথম কোন্ ইবাদত ফরয করা হয়?
উত্তরঃ সালাত।
- প্রশ্নঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্বে সর্বশেষ কোন বিষয়ে নসীহত করেন?
উত্তরঃ সালাত এবং দাস-দাসী চাকর-চাকরানীদের সাথে সদ্ববহারের।
- প্রশ্নঃ মানুষ ক্বিয়ামতের মাঠে সর্বপ্রথম কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে?
উত্তরঃ ছালাত সম্পর্কে।
- প্রশ্নঃ মেরাজে প্রথমে কত ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়? অতঃপর কত ওয়াক্তে তা স্থির হয়?
উত্তরঃ প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত। পরে পাঁচ ওয়াক্তে স্থির হয়েছে।
- প্রশ্নঃ সন্তানের বয়স কত হলে তাকে নামাযের আদেশ দিতে হবে?
উত্তরঃ ৭ বছর হলে।
- প্রশ্নঃ ইচ্ছে করে সলাত ত্যাগ করার বিধান কি?
উত্তরঃ ইচ্ছে করে সলাত ত্যাগ করা কুফুরী।
- প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কখন আযান প্রচলিত হয়?
উত্তরঃ প্রথম হিজরীতে।
- প্রশ্নঃ ক্বিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কাঁধ বিশিষ্ট হবে?
উত্তরঃ মুআয্যিন।
- প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি বার বছর আযান দিবে তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে?
উত্তরঃ তাকে জান্নাতে দেয়া হবে।
- প্রশ্নঃআযানেপরকিদুয়াপড়তেহয়?
উত্তরঃ আযানের পর কয়েকটি দুয়া পড়া যায়; যেমন একটি হল: জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে দু’আ করে :“আল্লাহুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাহ ওয়াস্বলা-তির ক্ব-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফায্বীলাহ, ওয়াব’আছহু মাক্ব-মাম মাহ:মূদানিল্লাযী ওয়া’আত্তাহ”।--কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত লাভের অধিকারী হবে।[সহীহ বুখারী শরীফ - ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৫৮৭, তাওহীদ পাবলিকেশন : হাদিস/৬১৪] [সহীহ আত তিরমিযি হাদিস/২১১]
- প্রশ্নঃ একজন মানুষ অজ্ঞতা বশতঃ কাপড়ে নাপাকী নিয়ে নামায আদায় করেছে। তাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নামায ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
- প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে নামায আদায় করা জায়েয নয়?
উত্তরঃ গোরস্থান, শৌচাগার, উট বাঁধার স্থান, ময়লাযুক্ত স্থান এবং রাস্তার মধ্যে।
- প্রশ্নঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নিয়ত কিভাবে করতে হবে?
উত্তরঃ প্রত্যেক নামাযের জন্য আলাদাভাবে অন্তরে নিয়ত করতে হবে। মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত।
- প্রশ্নঃ কোন্ ধরণের নামাযের জন্য ক্বিবলামুখী হওয়া শর্ত?
উত্তরঃ শুধুমাত্র ফরয নামাযের জন্য।
- প্রশ্নঃ কোন্ ধরণের নামায বিনা শর্তে বাহনের উপর পড়া জায়েয?
উত্তরঃ সুন্নাত, নফল, বিতর ইত্যাদি।
- প্রশ্নঃ কোন্ ধরণের নামায আরোহী বাহনের উপর ক্বিবলামুখী না হয়েও পড়া জায়েয?
উত্তরঃ সুন্নাত, নফল, বিতর ইত্যাদি।
- প্রশ্নঃ ক্বিবলা অনুসন্ধান করে ব্যর্থ হয়ে অনুমান করে নামায আদায় করেছে। পরে জানতে পারল যে, ক্বিবলার দিকে সে নামায পড়েনি। তাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নামায হয়ে যাবে, উহা ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
- প্রশ্নঃ নামাযে মহিলাদের সতর কতটুকু?
উত্তরঃ মুখমন্ডল এবং কব্জি পর্যন্ত দুহাত ব্যতীত সমস্ত শরীর আবৃত করা ফরয।
- প্রশ্নঃ নামায অবস্থায় কারো ওযু ভঙ্গ হয়ে গেলে কিভাবে বের হয়ে আসবে।
উত্তরঃ নিজের নাক ধরে বের হয়ে আসবে।
- প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তার পানি পবিত্র এবং উহার মৃতপ্রাণী হালাল।” কোন্ পানি সম্পর্কে তিনি একথা বলেছেন?
উত্তরঃ সমুদ্রের পানি।
- প্রশ্নঃ কাফেরদের ব্যবহৃত পাত্র ব্যবহার করার হুকুম কি?
উত্তরঃ অন্য পাত্র না পেলে ভালভাবে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে।
- প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কোন পান পাত্রে মাছি পড়লে, তাকে ডুবিয়ে দিবে, তারপর মাছিটি ফেলে দিয়ে উক্ত পানীয় ব্যবহার করবে।” কেন তাকে ডুবাতে হবে?
উত্তরঃ কেননা মাছির এক ডানায় থাকে জীবানু আর অন্য ডানায় থাকে তার ঔষুধ।
- প্রশ্নঃ কোন কারণে সর্বাধিক কবরের আযাব হয়ে থাকে?
উত্তরঃ শরীরে পেশাবের ছিটা লাগার কারণে।
- প্রশ্নঃ নামায আদায়ের সর্বোত্তম সময় কোনটি?
উত্তরঃ প্রথম ওয়াক্ত। (সময় হওয়ার সাথে সাথে আদায় করা উত্তম।)
- প্রশ্নঃ কোন্ নামায আদায় করলে মানুষ আল্লাহর যিম্মাদারীর মধ্যে এসে যায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায।
- প্রশ্নঃ কোন নামায জামাতের সাথে আদায় করলে অর্ধেক রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ এশা নামায।
- প্রশ্নঃ কোন নামায জামাতের সাথে আদায় করলে পূর্ণ রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফজর নামায।
- প্রশ্নঃ কোন দুরাকাত নামাযে একটি মাকবূল হজ্জ ও একটি মাকবূল উমরার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায পড়ে স্বীয় মুসল্লায় বসে থেকে সূর্য উঠার পর দুরাকাত নামায পড়লে।
- প্রশ্নঃ কোন নামায ছুটে গেলে মানুষ পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়?
উত্তরঃ আসরের নামায।
- প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মানুষ যদি জানতো এই দুনামাযে কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।” নামায দুটি কি কি?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
- প্রশ্নঃ কোন দুটি নামায মুনাফেক্বদের উপর সবচেয়ে ভারী ও কষ্টকর?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
- প্রশ্নঃ ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায কোনটি?
উত্তরঃ রাতের নফল (তাহাজ্জুদ) নামায।
- প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত সুন্নাত নামায নিয়োমিত আদায় করবে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে?
উত্তরঃ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে।
- প্রশ্নঃ জামাতের সাথে নামায পড়লে কতগুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ২৫ গুণ বা ২৭ গুণ।
- প্রশ্নঃ সিজদার সময় কয়টি অঙ্গ মাটিতে রাখা আবশ্যক এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ৭টি, (দুপা, দুহাঁটু, দুহাত এবং মুখমন্ডল তথা নাক ও কপাল)
- প্রশ্নঃ ক্বিবলা পরিবর্তন হওয়ার পর মুসলমানগণ সর্বপ্রথম কোন নামায কাবার দিকে আদায় করেন?
উত্তরঃ আছরের নামায।
- প্রশ্নঃ কোন দুরাকাত সুন্নাত নামায সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “উহা দুনিয়া এবং উহার মধ্যস্থিত সকল বস্তুর চাইতে উত্তম।”?
উত্তরঃ ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত।
- প্রশ্নঃ সলাতের ফজিলতে একটি হাদীছ বলুনঃ
উত্তরঃ Avey ûivqiv (ivt) e‡jb, ivmyjyjøvn& Qvjvjvû AvjvBwn Iqvmvjvg e‡j‡Qbt Av”Qv ej †Zv,hw` †Zvgv‡`i KviI `iRvi mvg‡b GKwU bni _v‡K, hv‡Z †m ˆ`wbK cuvPevi †Mvmj K‡i, Zvnvi kix‡i gqjv evKx _vK‡e wK ? Zvuiv DËi Ki‡jb, evKx _vK‡e bv| ZLb ivm~j mvjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg ej‡jbt GwU cuvP Iqv³ bvgv‡hi D`vnib | cuvP evi mjv‡Zi gva¨‡g Avjøvn ev›`vi cvcmg~n ÿgv K‡i‡`b| (eyLvix gymwjg)