AL-USWUL ATH-THALATHA


usuulthalath


الأَصْلُ الثَّالِث: مَعْرِفَةُ نَبِيِّكُمْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، وَهَاشِمٌ مِنْ قُرَيْشٍ، وَقُرَيْشٌ مِنَ الْعَرَبِ، وَالْعَرَبُ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ وَعَلَى نَبِيِّنَا أَفْضَلُ الصَّلاةِ وَالسَّلامِ، وَلَهُ مِنَ الِعُمُرِ ثَلاثٌ وَسِتُّونَ سَنَةً، مِنْهَا أَرْبَعُونَ قَبْلَ النُّبُوَّةِ، وَثَلاثٌ وَعِشْرُون َفى النبوة. نُبِّئَ ب (إقْراء) ، وَأُرْسِلَ ب (الْمُدَّثِّرْ)، وَبَلَدُهُ مَكَّةُ. بَعَثَهُ اللهُ بِالنِّذَارَةِ عَنِ الشِّرْكِ، وَبالَدْعُوة إِلَى التَّوْحِيدِ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ‌ قُمْ فَأَنذِرْ‌ وَرَ‌بَّكَ فَكَبِّرْ‌ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ‌ وَالرُّ‌جْزَ فَاهْجُرْ‌ وَلَا تَمْنُن تَسْتَكْثِرُ‌ وَلِرَ‌بِّكَ فَاصْبِرْ‌}

وَمَعْنَى {قُمْ فَأَنذِرْ‌}  يُنْذِرُ عَنِ الشِّرْكِ، وَيَدْعُو إِلَى التَّوْحِيدِ

وَرَ‌بَّكَ فَكَبِّرْ‌} أَيْ: عَظِّمْهُ بِالتَّوْحِيدِ}

وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ‌} أَيْ: طَهِّرْ أَعْمَالَكَ عَنِ الشِّرْكِ}

وَالرُّ‌جْزَ فَاهْجُرْ‌} الرُّجْزَ: الأَصْنَامُ، وَهَجْرُهَا: تَرْكُهَا، وَالْبَرَاءَةُ مِنْهَا وَأَهْلُهَا}

أَخَذَ عَلَى هَذَا عَشْرَ سِنِينَ يَدْعُو إِلَى التَّوْحِيدِ، وَبَعْدَ الْعَشْرِ عُرِجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَفُرِضَتْ عَلَيْهِ الصَّلَواتُ الْخَمْسُ، وَصَلَّى فِي مَكَّةَ ثَلاثَ سِنِينَ، وَبَعْدَهَا أُمِرَ بالْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَالْهِجْرَةُ الانْتِقَالُ مِنْ بَلَدِ الشِّرْكِ إِلَى بَلَدِ الإِسْلامِ

وَالْهِجْرَةُ فَرِيضَةٌ عَلَى هَذِهِ الأُمَّةِ مِنْ بَلَدِ الشِّرْكِ إِلَى بلد الإِسْلامِ، وَهِيَ بَاقِيَةٌ إِلَى أَنْ تَقُومَ السَّاعَةُ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنتُمْ ۖ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ ۚ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّـهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا ۚ فَأُولَـٰئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا فَأُولَـٰئِكَ عَسَى اللَّـهُ أَن يَعْفُوَ عَنْهُمْ ۚ وَكَانَ اللَّـهُ عَفُوًّا غَفُورًا

:وَقَوْلُهُ تَعَالَى

يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ أَرْضِي وَاسِعَةٌ فَإِيَّايَ فَاعْبُدُونِ}     العنكبوت:56}

قَالَ الْبُغَوِيُّ (رَحِمَهُ اللهُ) :نزلت هَذِهِ الآيَةِ فِي المُسْلِمِينَ الَّذِينَ بِمَكَّةَ ولَمْ يُهَاجِرُوا، نَادَاهُمُ اللهُ بِاسْمِ الإِيمَانِ

وَالدَّلِيلُ عَلَى الْهِجْرَةِ مِنَ السُّنَّةِ، : قَوْلُهُ صلى الله عليه وآله وسلم

[لاَ تَنْقَطِعُ الْهِجْرَةُ حَتَّى تَنْقَطِعَ التَّوْبَةُ، وَلا تَنْقَطِعُ التَّوْبَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَ]

فَلَمَّا اسْتَقَرَّ فِي الْمَدِينَةِ أُمِرَ بِبَقِيَّةِ شَرَائِعِ الإِسْلامِ، مِثلِ: الزَّكَاةِ، وَالصَّوْمِ، وَالْحَجِّ، وَالأَذَانِ، وَالْجِهَادِ، وَالأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ شَرَائِعِ الإِسْلامِ، أَخَذَ عَلَى هَذَا عَشْرَ سِنِينَ، وَتُوُفِّيَ ـ صَلواتُ اللهِ وَسَلامُهُ عَلَيْهِ ـ وَدِينُهُ بَاقٍ. وَهَذَا دِينُهُ، لا خَيْرَ إِلا دَلَّ الأُمَّةَ عَلَيْهِ، وَلا شَرَّ إِلا حَذَّرَهَا مِنْهُ، وَالْخَيْرُ الَّذِي دَلَّهَا عَلَيْهِ التَّوْحِيدُ، وَجَمِيعُ مَا يُحِبُّهُ اللهُ وَيَرْضَاهُ، وَالشَّرُ الَّذِي حَذَّرَهَا مِنْهُ الشِّرْكُ، وَجَمِيعُ مَا يَكْرَهُ اللهُ وَيَأْبَاهُ. بَعَثَهُ اللهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَافْتَرَضَ طَاعَتَهُ عَلَى جَمِيعِ الثَّقَلَيْنِ الْجِنِّ وَالإِنْسِ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّـهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا}

:وَكَمَّلَ اللهُ بِهِ الدِّينَ؛ وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا}

:وَالدَّلِيلُ عَلَى مَوْتِهِ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّمَ) قَوْلُهُ تَعَالَى

{إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِندَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ }

وَالنَّاسُ إِذَا مَاتُواْ يُبْعَثُونَ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَىٰ}

:وقَوْلُهُ تَعَالَى

{وَاللَّـهُ أَنبَتَكُم مِّنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا ثُمَّ يُعِيدُكُمْ فِيهَا وَيُخْرِجُكُمْ إِخْرَاجًا}

وَبَعْدَ الْبَعْثِ مُحَاسَبُونَ وَمَجْزِيُّونَ بِأَعْمَالِهِمْ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{وَلِلَّـهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ لِيَجْزِيَ الَّذِينَ أَسَاءُوا بِمَا عَمِلُوا وَيَجْزِيَ الَّذِينَ أَحْسَنُوا بِالْحُسْنَى}

وَمَنْ كَذَّبَ بِالْبَعْثِ كَفَرَ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{زَعَمَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَن لَّن يُبْعَثُوا ۚ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ ۚ وَذَٰلِكَ عَلَى اللَّـهِ يَسِيرٌ}

وَأَرْسَلَ اللهُ جَمِيعَ الرُّسُلِ مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{رُّسُلًا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّـهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ}

وَأَّولُهُمْ نُوحٌ (عَلَيْهِ السَّلامُ)، وَآخِرُهُمْ مُحَمَّدٌ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّمَ) وَهُوَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ

وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ أَوَّلَهُمْ نُوحٌ قَوْلُهُ تَعَالَى:

{إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَىٰ نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِن بَعْدِهِ}

وَكُلُّ أُمَّةٍ بَعَثَ اللهُ إِلَيْهِا رَسُولا مِنْ نُوحٍ إِلَى مُحَمَّدٍ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّمَ) يَأْمُرُهُمْ بِعِبَادَةِ اللهِ وَحْدَهُ، وَيَنْهَاهُمْ عَنْ عِبَادَةِ الطَّاغُوتِ

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

وَافْتَرَضَ اللهُ عَلَى جَمِيعِ الْعِبَادِ الْكُفْرَ بِالطَّاغُوتِ وَالإِيمَانَ بِاللهِ

قَالَ ابْنُ الْقَيِّمِ (رَحِمَهُ اللهُ): مَعْنَى الطَّاغُوتِ مَا تَجَاوَزَ بِهِ الْعَبْدُ حَدَّهُ مِنْ مَعْبُودٍ أَوْ مَتْبُوعٍ أَوْ مُطَاعٍ. وَالطَّوَاغِيتُ كَثِيرُونَ وَرُؤُوسُهُمْ خَمْسَةٌ: إِبْلِيسُ لَعَنَهُ اللهُ، وَمَنْ عُبِدَ وَهُوَ رَاضٍ، وَمَنْ دَعَا النَّاسَ إِلَى عِبَادَةِ نَفْسِهِ، وَمَنْ ادَّعَى شَيْئًا مِنْ عِلْمِ الْغَيْبِ، وَمَنْ حَكَمَ بِغَيْرِ مَا أَنْزَلَ اللهُ.

:وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ۖ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ ۚ فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّـهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّـهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

وَهَذَا هُوَ مَعْنَى لا إلٰه إِلا اللهُ

[وَفِي الْحَدِيث: [رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلامِ، وَعَمُودُهُ الصَّلاةُ، وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ

وَاللهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى اللهُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعلى آلٰه وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ


তৃতীয় মূলনীতি: নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা

তৃতীয় মূলনীতি হচ্ছে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা। তিনি হচ্ছেন, মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ তথা আবদুল্লাহর পুত্র, তাঁর পিতা আবদুল মুত্তালেব, তাঁর পিতা হাশেম। হাশেম কুরাইশ বংশের লোক এবং এটি আরব কওম ও গোষ্ঠীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী ইবরাহীম খলীলুল্লাহর পুত্র ইসলাইলের বংশ হতে উদ্ভুত। (তার উপর এবং আমাদের নবীর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক)।

তিনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তেষট্রি ( ৬৩) বছর জীবিত ছিলেন, নবুওত প্রাপ্তির পূর্বে চল্লিশ বছর এবং নবী ও রাসূলহিসেবে তেইশ বছর (অতিবাহিত করেছেন)।

তাকে সূরা ইকরানাযিল করার মাধ্যমে নবী এবং সূরা মুদ্দাসসির নাযিল করার মাধ্যমে রাসূল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শির্ক থেকে সতর্ক করার জন্যে এবং তাওহীদ তথা অদ্বিতীয় আল্লাহর একত্ববাদ প্রচারের জন্য আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেন।

এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡمُدَّثِّرُ ١ قُمۡ فَأَنذِرۡ ٢ وَرَبَّكَ فَكَبِّرۡ ٣ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرۡ ٤ وَٱلرُّجۡزَ فَٱهۡجُرۡ ٥ وَلَا تَمۡنُن تَسۡتَكۡثِرُ ٦ وَلِرَبِّكَ فَٱصۡبِرۡ ٧ ﴾ [المدثر: ١، ٧]

হে কম্বলে দেহ আবৃতকারী। উঠে দাঁড়াও, সকলকে সতর্ক কর ও নিজ রবর মহিমা ঘোষণা কর। বস্ত্রসমূহ পাক-সাফ রাখ, শির্কের কদর্যতাকে সম্পূর্ণ বর্জন কর, বিনিময় লাভের আশায় ইহসান করো না। আর নিজ প্রভূর(আদেশ পালনে) ধৈর্য ধারণ কর। (সূরা আল- মুদ্দাসসিরঃ ১-৭)

এখানে

﴿ قُمۡ فَأَنذِرۡ ٢ ﴾ [المدثر: ٢]

“উঠে দাঁড়াও ও সতর্ক কর” এর অর্থ, শির্কের বিরুদ্ধে সতর্ক কর এবং তাওহীদের প্রতি আহ্বান জানাও।

﴿ وَرَبَّكَ فَكَبِّرۡ ٣ ﴾ [المدثر: ٣]

“আর তোমার রবের মহিমা ঘোষণা কর” এর অর্থ তাওহীদের মাধ্যমে আল্লাহর মাহাত্ম্য প্রচার কর।

﴿ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرۡ ٤ ﴾ [المدثر: ٤]

“আর তোমার পোষাক পরিচ্ছদ পাক-সাফ রাখ” এর অর্থ আমলসমূহকে শির্কের কলুষ কালিমা থেকে পবিত্র রাখ।

﴿ وَٱلرُّجۡزَ فَٱهۡجُرۡ ٥ ﴾ [المدثر: ٥]

“আর কদর্যতা বর্জন কর” এর মধ্যে ‘রুজয’ এর অর্থ প্রতিমা আর ‘হাজর’ এর অর্থ ছেড়ে দেওয়া। সুতরাং আয়াতের পূর্ণ অর্থ হচ্ছে, প্রতিমা পূজা ও পূজকদের ত্যাগ করা, প্রতিমা থেকে সম্পর্কচ্ছুতি এবং পূজকদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে দূরে বহু দূরে অবস্থান করা।

তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দশ বছর ধরে এ তাওহীদের দিকেই মানুষদের আহ্বান জানিয়েছেন। তারপর তাকে আসমানে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়। অতঃপর মক্কা ভূমিতে তিন বছর উক্ত সালাত সূচারুরূপে সম্পাদনের পর আল- মদীনায় হিজরত করার আদেশ প্রাপ্ত হন।

হিজরতের অর্থ শির্ক-কলুষিত স্থান পরিত্যাগ করে ইসলামী রাজ্যে গমন করা। এ উম্মতের (উম্মতে মুহাম্মদীয়া) জন্য শির্ক-কলুষিত স্থান থেকে ইসলামী রাজত্বে হিজরত করা ফরয। এ হিজরত কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুন্ন ও অব্যাহত থাকবে।

এর সপক্ষে প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহর বাণী,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ٩٧ إِلَّا ٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ حِيلَةٗ وَلَا يَهۡتَدُونَ سَبِيلٗا ٩٨ فَأُوْلَٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعۡفُوَ عَنۡهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورٗا ٩٩ ﴾ [النساء: ٩٧، ٩٩]

নিশ্চয় যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের জান কবযকরার সময় ফিরিশতাগণ বলবে, কি অবস্থায় তোমরা ছিলে? তারা বলবে, আমরা মাটির পৃথিবীতে ছিলাম অসহায় অবস্থায়। ফিরিশতাকূল বলবেন: আল্লাহর দুনিয়া কি এতটা প্রশস্ত ছিলনা যাতে তোমরা হিজরত করতে পারতে? অতএব এরা হচ্ছে সেই সব লোক যাদের শেষ আশ্রয় হবে জাহান্নাম। আর এ হচ্ছে নিকৃষ্টতম আশ্রয়স্থল। কিন্ত যেসব আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা এমনভাবে অসহায় হয়ে পড়ে যে, কোনো উপায় উদ্ভাবন করতে তারা সমর্থ হয় না, এমন কি পথ সম্পর্কেও তারা কোনো সহায় সম্বল খুঁজে পায় না, এদের আল্লাহ ক্ষমার আশ্বাস দিচ্ছেন, বস্তুত আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাশীল ও পাপ মোচনকারী (সূরা আন-নিসা, ৯৭-৯৯)

অনুরূপ আল্লাহর বাণী,

﴿ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ أَرۡضِي وَٰسِعَةٞ فَإِيَّٰيَ فَٱعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [العنكبوت: ٥٦]

হে আমার মুমিন বান্দাগণ! নিশ্চয় আমার যমীন প্রশস্ত। অতএব তোমরা একমাত্র আমারই বান্দেগী করতে থাক” (সূরা আল-আনকাবূত, ৫৬)

ইমাম বাগাভী রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

এ আয়াত অবতীর্ণ হবার কারণ এই যে, যে সব মুসলিম হিজরত না করে মক্কায় রয়েছে, আল্লাহ তাদের ঈমানের সম্বোধন করে আহ্বান করেছেন।

হিজরতের সমর্থনে হাদীস হতে প্রমাণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,

«لَا تَنْقَطِعُ الْهِجْرَةُ حَتَّى تَنْقَطِعَ التَّوْبَةُ، وَلَا تَنْقَطِعُ التَّوْبَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا»

তাওবা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজরত বন্ধ হবে না আর সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত না হওয়া পর্যন্ত তওবার দ্বারও বন্ধ হবে না।[2]

আর আল্লাহই হচ্ছেন সর্বজ্ঞ।

সমাপ্ত

 


[2]তিরমিযী, হাদীস নং ২৬১৬।