AL-USWUL ATH-THALATHA


usuulthalath


المرتبة الأولى: الإسلام
:فَأَرْكَانُ الإِسْلامِ خَمْسَةٌ

شَهَادَةُ أَن لا إلٰه إِلا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، وَإِقَامُ الصَّلاةِ، وَإِيتَاء الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَحَجُّ بَيْتِ اللهِ الْحَرَام

:فَدَلِيلُ الشَّهَادَةِ قَوْلُهُ تَعَالَى

شَهِدَ اللَّـهُ أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ ۚ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ}      آل عمران:18}

وَمَعْنَاهَا :لا مَعْبُودَ بِحَقٍّ إلا اللهُ، وَحَدُّ النَّفْيِ مِنْ الإِثْبَاتِ ((لَا إِلَـٰهَ)) نَافِيًا جَمِيعَ مَا يُعْبَدُ مِنْ دُونِ اللهِ ((إلاَّ الله)) مُثْبِتًا الْعِبَادَةَ للهِ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ فِي عِبَادَتِهِ، كَمَا أَنَّهُ لَيْسَ لَهُ شَرِيكٌ فِي مُلْكِهِ

:وَتَفْسِيرُهَا الَّذِي يُوَضِّحُهَا قَوْلُهُ تَعَالَى

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ إِنَّنِي بَرَاءٌ مِّمَّا تَعْبُدُونَ إِلَّا الَّذِي فَطَرَنِي فَإِنَّهُ سَيَهْدِينِ  وَجَعَلَهَا كَلِمَةً بَاقِيَةً فِي عَقِبِهِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ    الزخرف:26-28

:وقَوْلُهُ تَعَالَى

قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّـهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّـهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ      آل عمران:64

:وَدِليلُ شَهَادَةِ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ قَوْلُهُ تَعَالَى

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ}    التوبة:128}

وَمَعْنَى شَهَادَة أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ الله: طَاعَتُهُ فِيمَا أَمَرَ، وَتَصْدِيقُهُ فِيمَا أَخْبَرَ، واجْتِنَابُ مَا نَهَى عَنْهُ وَزَجَرَ وأَلا يُعْبَدَ اللهُ إِلا بِمَا شَرَعَ

:وَدَلِيلُ الصَّلاةِ، وَالزَّكَاةِ، وَتَفْسِيرُ التَّوْحِيدِ قَوْلُهُ تَعَالَى

   وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّـهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ}     البينة:5}
:وَدَلِيلُ الصِّيَامِ قَوْلُهُ تَعَالَى

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ}     البقر:183}

:وَدَلِيلُ الْحَجِّ قَوْلُهُ تَعَالَى

وَلِلَّـهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا ۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللَّـهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ}   آل عمران:97}


প্রথম স্তর: ইসলাম

ইসলামের রুকন বা স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি:

১) আল্লাহ ব্যতীত নেই কোনো হক্ব মা‘বুদ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল’- একথার সাক্ষ্য প্রদান করা।

২) সালাত সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

৩) যাকাত প্রদান করা।

৪) রামাযান মাসের সাওম পালন করা।

৫) আল্লাহর ঘর হজ্জ করা।

[ইসলামের রুকনসমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা]

প্রথম রুকন: কালেমায়ে শাহাদাত এর পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ شَهِدَ ٱللَّهُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَأُوْلُواْ ٱلۡعِلۡمِ قَآئِمَۢا بِٱلۡقِسۡطِۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ١٨ ﴾ [ال عمران: ١٨]

আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, একমাত্র তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই। আর ফিরিশতাবৃন্দ এবং জ্ঞানবান ব্যক্তিগণও ন্যায়নিষ্ঠ হয়ে ঘোষণা করেন যে, মহাপরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই।।” (সূরা আলে-ইমরান:১৮)

এর অর্থ হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে একমাত্র তিনি আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইবাদতের যোগ্য ইলাহ নেই।

এর দুটি দিক রয়েছে, একটি নেতিবাচক, অপরটি ইতিবাচক। নেতিবাচক দিকটি হচ্ছে, ‘কোনই মাবুদ নেই’ এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছুর ইবাদত করা হয় তা সম্পূর্ণরূপে নাকচ করা হয়েছে। আর ইতিবাচক দিক হচ্ছে, ‘আল্লাহ ব্যতীত’ এর দ্বারা ইবাদত দৃঢ়তার সঙ্গে একমাত্র আল্লাহর জন্যই সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর রাজত্বে যেমন কোনো অংশীদার নেই, তেমনি তাঁর ইবাদত ক্ষেত্রেও কোনো অংশীদার থাকতে পারে না।

এ তাওহীদ বা একত্ববাদের তাফসীর ও ব্যাখ্যা এসেছে আল্লাহর বাণী কুরআনে। যেমন, আল্লাহর বাণী,

﴿ وَإِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦٓ إِنَّنِي بَرَآءٞ مِّمَّا تَعۡبُدُونَ ٢٦ إِلَّا ٱلَّذِي فَطَرَنِي فَإِنَّهُۥ سَيَهۡدِينِ ٢٧ وَجَعَلَهَا كَلِمَةَۢ بَاقِيَةٗ فِي عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ ٢٨ ﴾ [الزخرف: ٢٦، ٢٨]

“আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম নিজ পিতা ও নিজ সমপ্রদায়কে বলেছিল: তোমরা যে সব মূর্তির পূজা অর্চনা করছঃ আমি তা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত আমি তাঁরই ইবাদত করি যিনি আমাকে পয়দা করেছেন আর তিনিই আমাকে সৎপথে পরিচালিত করবেন এবং ইবরাহীম এক চিরন্তন কলেমারূপে রেখে গেছেন তাঁর পরবর্তীদের জন্যে, যাতে তারা সেই বাণীর পানে ফিরে যেতে পারে।(সূরা আয্-যুখরুফ: ২৬-২৮)

অনুরূপ আল্লাহর অপর বাণী,

﴿ قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ كَلِمَةٖ سَوَآءِۢ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكُمۡ أَلَّا نَعۡبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشۡرِكَ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗا وَلَا يَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَقُولُواْ ٱشۡهَدُواْ بِأَنَّا مُسۡلِمُونَ ٦٤ ﴾ [ال عمران: ٦٤]

বল হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন এক বাণীর প্রতি আস যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে সমান। আর তা হচ্ছে, আমরা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো ইবাদত করবো না, আমরা কোনো কিছুই তাঁর শরীক করব না। আর আমরা আল্লাহকে ছেড়ে একে অপরকে কস্মিনকালেও রব বলে গ্রহণ করব না, কিন্তু তারা যদি এতে পরাম্মুখ হয়, তাহলে তোমরা (আহলে কিতাবদের) বলে দাও,- জেনে রাখো, আমরা হচ্ছি আল্লাহতে আত্মসমর্পিত মুসলিম।” (সূরা আলে-ইমরান: ৬৪)

আর ‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’ এ সাক্ষ্যের স্বপক্ষে প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨ ﴾ [التوبة: ١٢٨]

অবশ্যই তোমাদের কাছে সমাগত হয়েছেন তোমাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসূল যাঁর পক্ষে দূর্বহ ও অসহনীয় হয়ে থাকে তোমাদের দুঃখকষ্টগুলো, যিনি তোমাদের প্রতি সদা সচেতন। মুমিনদের প্রতি যিনি চীর স্নেহশীল ও দয়াবান।” (সূরা আত্-তাওবাঃ ১২৮)

আর ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল’ এ কথার তাৎপর্য হচ্ছে,

১. তিনি যা আদেশ করেছেন তা অনূসরণ করা।

২. তিনি যে বিষয়ের সংবাদ প্রদান করেছেন তা সত্য বলে স্বীকার করা।

৩. তিনি যা থেকে নিষেধ করেন তা বর্জন করা এবং

৪. কেবল তার প্রবর্তিত শরীয়াত অনুযায়ীই আল্লাহর ইবাদত করা।

[দ্বিতীয় ও তৃতীয় রুকন সালাত, যাকাত সম্পর্কে ব্যাখ্যা]

আর সালাত, যাকাতের প্রমাণ এবং তাওহীদের ব্যাখ্যা সম্পর্কে আল্লাহর বাণী,

﴿ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ وَيُقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُواْ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَذَٰلِكَ دِينُ ٱلۡقَيِّمَةِ ٥ ﴾ [البينة: ٥]

আর তাদের তো কেবল এ আদেশই দেওয়া হয়েছিল যে, তারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করে দ্বীন ইসলামকে খালেস করে নিবে কেবল আল্লাহর জন্য। আর সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত প্রদান করবে। আর এটাই হচ্ছে সুদৃঢ় দ্বীন।” (সূরা আল-বাইয়্যেনাহঃ ৫)

[চতুর্থ রুকন সাওমের ব্যাখ্যা]

সাওমের প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [البقرة: ١٨٣]

হে যারা ঈমান এনেছ, সিয়াম সাধনা তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পার।” (সূরা আল-বাকারা, ১৮৩)

[পঞ্চম রুকন সম্পর্কে ব্যাখ্যা]

হজ্জের প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ ٱلۡعَٰلَمِينَ ﴾ [ال عمران: ٩٧]

আর আল্লাহর ঘরের উদ্দেশ্যে সফরের সামর্থ রাখে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে কাবাগৃহের হজ্ব করা ফরয, কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি এ আদেশ অমান্য করে তা হলে (জেনে রাখ) আল্লাহ সৃষ্টিকুল থেকেই অমুখাপেক্ষী।” (সূরা আলে-ইমরান: ৯৭)