AL-USWUL ATH-THALATHA (Misingi Mitatu)


usuulthalath


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمًنِ الرَّحيم

عْلمْ رَحِمَكَ اللهُ أَنَّهُ يَجِبُ عَلَيْنَا تَعَلُّمُ أَرْبَع مَسَائِلَ

المسألة الأُولَى: الْعِلْمُ

وَهُوَ مَعْرِفَةُ اللهِ، وَمَعْرِفَةُ نَبِيِّهِ (صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّمَ) وَمَعْرِفَةُ دِينِ الإِسْلامِ بالأَدِلَّةِ

المسألة الثَّانِيَة :الْعَمَلُ بِهِ

المسألة الثَّالِثَةُ :الدَّعْوَةُ إِلَيْهِ

المسألة الرَّابِعَةُ :الصَّبْرُ عَلَى الأَذَى فِيهِ

وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

بِسْمِ اللَّـهِ الرَّ‌حْمَـٰنِ الرَّ‌حِيمِ

{وَالْعَصْرِ‌ إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ‌ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ‌}

قَالَ الشَّافِعيُّ (رَحِمَهُ اللهُ): لَوْ مَا أَنْزَلَ اللهُ حُجَّةً عَلَى خَلْقِهِ إِلا هَذِهِ السُّورَةَ لَكَفَتْهُمْ

وَقَالَ البُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللهُ: بَابُ: العِلْمُ قَبْلَ القَوْلِ وَالْعَمَلِ

وَالدَّلِيلُ قَوْلُهُ تَعَالَى

{فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا اللَّـهُ وَاسْتَغْفِرْ‌ لِذَنبِكَ}

فَبَدَأَ بِالْعِلْمِ قَبْلَ القَوْلِ وَالعَمَلِ


তিনটি মূলনীতি ও তার প্রমাণপঞ্জি

 

শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব রহ.

 

অনুবাদ : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

পরম করুণাময় দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।

 

জেনে নাও, আল্লাহ্ তোমার উপর রহমত বর্ষণ করুন! চারটি বিষয়ের জ্ঞানলাভ করা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।


(এক) ইলম বা দ্বীনী জ্ঞান: আর তা এমন বিদ্যা যার সাহায্যে দলীল-প্রমাণসহ আল্লাহ, তাঁর নবী এবং দ্বীন-ইসলাম সম্পর্কে সম্যক পরিচয় লাভ করা যায়।


(দুই) ঐ জ্ঞান অনুযায়ী আমল করা।


(তিন) তার দিকে (মানুষকে) আহ্বান করা।


(চার) এই কর্তব্য পালনে সম্ভাব্য কষ্ট ও বিপদ-বিপর্যয়ে ধৈর্য ধারণ। উপরোক্ত কথার প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহর বাণী,


 بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾    العصر: ١، ٣]

 

কালের শপথ, সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ সম্পাদন করেছে, আর যারা পরস্পরকে হক্ক তথা সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্য       ধারণের নিরন্তর উপদেশ দিয়েছে তারা ব্যতীত।” [সূরা আল-আসর: ১-৩]

 

উপরে বর্ণিত সূরা সম্পর্কে ইমাম শাফে‘ঈ (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) এই অভিমত পেশ করেছেন,“যদি আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির উপর প্রমাণ পেশ করার জন্য এ সূরা ছাড়া অন্য কোনো কিছু অবতীর্ণ না করতেন, তাহলে এ সূরাই তাদের জন্য সব দিক দিয়ে যথেষ্ট হতো।”


ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তার সংকলিত সহীহ বুখারীর একটি অধ্যায়ের শিরোনাম দিয়েছেন: ‘বিদ্যার স্থান হচ্ছে কথা ও কাজের পূর্বে।’


এর সমর্থনে কুরআনের ঘোষণাঃ

 


فَٱعۡلَمۡ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۢبِكَ﴾      محمد: ١٩}

 


“কাজেই জেনে রাখো, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনোই ইলাহ নেই। আর (হে রাসূল) নিজের ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর।”  (সূরা মুহাম্মাদঃ ১৯)

এখানে কথা ও কাজের পূর্বে জ্ঞান ও বিদ্যার কথাই আল্লহ প্রথমে উল্লেখ করেছেন।